গরমে শিশুর ত্বকের যত্ন নিবেন কিভাবে জানেন কি? গরমে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নিবেন কিভাবে সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর এবং গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো এই সমস্ত বিষয়াবলী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সহ আলোচনা করবো আজকের পোস্টে। বাচ্চাদের ত্বক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চেয়ে তুলনামূলক কোমল হওয়ার জন্য তাদের ত্বকের যত্ন কিভাবে নিতে হয় সেটা অধিকাংশ পিতামাতা জানেন না।
বাচ্চাদের ত্বক ভালো রাখতে প্রাকৃতিক ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। আবার কৃত্রিম উপায়েও শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া যেতে পারে। বাজারে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন উপাদানে তৈরি বিভিন্ন কোয়ালিটি সম্পন্ন ক্রিম পাওয়া যায়। যা ব্যবহার করে আপনার শিশুর যত্ন নিতে পারেন। আবার ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা তুলনামূলক অধিক কার্যকর। গরমে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার সকল পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চলুন জেনে নিই।
গরমে শিশুর ত্বকের যত্ন নিবেন যেভাবে
গরমে বাচ্চাদের তুলনামূলক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চেয়ে রোগ বালাই ও নানান রকমের সমস্যা বেশি দেখা যায়। এতে বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। সেজন্য মূলত গরমের বাচ্চাদের সঠিক যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয় বেশি। আপনি যদি আপনার বাচ্চার যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে অবহেলা করেন তাহলে আপনার বাচ্চা বড় ধরনের রোগবালাই এ আক্রান্ত হতে পারে। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে আবহাওয়ায় গরমের মাত্রা তুলনামূলক বেশি হওয়ায় বাচ্চারা নানান রকমের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
তাই এই মুহূর্তে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়াটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই আপনি আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে গোসল করাবেন। আবার আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত ২ বেলা নরম কাপড় পানিতে ভিজিয়ে সারা শরীর যত্নসহকারে মুছে দিতে পারেন। এতে আপনার বাচ্চা আরাম বোধ করবে।
শিশুদের নিয়ে এই সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা বর্তমানে আবহাওয়ার অধিক তাপমাত্রায় ভ্রমণে আপনার শিশু অতিরিক্ত ঘেমে যেতে পারে। ফলে আপনার শিশুর পানিশূন্যতা সহ জ্বর, ডায়রিয়া ও বমি পর্যন্ত হতে পারে। এতে শিশু অল্প সময়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই এই গরমে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। অতএব বর্তমান সময়ে শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া ও তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়া সকল পিতামাতার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
গরমে শিশুর যত্নে করনীয়
- প্রতিদিন নিয়মিত পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে শিশুকে সময়মত গোসল করানো।
- গোসলের পর নরম ও কোমল সুতি কাপড়ের সাহায্যে শিশুর সারা শরীর ভালোভাবে মুছে দেওয়া।
- নিয়মিত ২ বেলা নরম ও কোমল সুতি কাপড় পানিতে ভিজিয়ে শিশুর সারা শরীর ভালোভাবে মুছে দেওয়া।
- গরমে ঘামের কারণে পানিশূন্যতা পূরণে ফলের শরবত এবং ডাবের পানি সহ গ্লুকোজ খাওয়ানো যেতে পারে।
- যেসকল শিশুরা এখন পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করে তাদের একটু পর পর দুধ খাওয়াতে হবে।
- ফর্মূলা মিল্ক বা কৌটার দুধ শিশুদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।
- শিশুর খাবার পাত্র, ওয়াটার পট, ফিডার ও জামাকাপড় সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
- শিশুকে খাবার খাওয়ানোর পূর্বে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে খাবার খাওয়াতে হবে।
- সবসময় বাচ্চাকে ঢিলাঢালা নরম ও কোমল কাপড় পরানোর চেষ্টা করবেন।
- শিশু যতবার ঘেমে উঠবে ঠিক ততবারই ঘাম মুছে দিতে হবে।
- সবসময় চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে ঠান্ডা নিরিবিলি ঘরে রাখার জন্য।
- ঘুম পাড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই পাতলা চাদর বা কাঁথা ব্যবহার করবেন যেন শিশুর কষ্ট না হয়।
গরমে শিশুর যত্নে বর্জনীয়
- কোনো অবস্থাতেই বাচ্চাকে জোর করে খাবার খাওয়ানো যাবে না। কারণ এতে বাচ্চার বদহজম সহ সাময়িক বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- বাচ্চাকে বাইরের খাবার সিঙ্গারা, পেয়াজু, চপ সহ এই ধরনের কোনো খাবার খেতে দিবেন না। এতে বাচ্চার পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
- বাচ্চাকে আইসক্রিম জাতীয় কোন খাবার দিবেন না। এমনকি ফ্রিজের অতিরিক্ত কোনো ঠান্ডা পানীয় বা খাবার যেন না খেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
- অতিরিক্ত গরম খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
- শিশুকে শোয়ানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মোটা ও গরম তোষক ব্যবহার না করাই উত্তম।
- শিশুর প্রতি সর্বদা খেয়াল রাখা জরুরি কেননা শিশু যেন পানিতে চলে যেতে না পারে।
গরমে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন
গরমে বাচ্চাদের ত্বকে অনেকসময় ঘেমে যাওয়ার কারণে নানান রকমের রোগবালাই এর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। তাই এই রোগবালাই থেকে রেহাই পেতে শিশুদের গোসল করানোর সময় গোসলের পানিতে এক চা চামচ পরিমাণ ডেটল অথবা স্যাভলোন ব্যবহার করতে পারেন।
শিশুদের শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন- গলা, হাটু, ঘাড়, বগল ইত্যাদি যায়গায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখা আবশ্যক। তবে এই গরমে বাচ্চাদের ডায়াপার বা প্যামপাস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। হালকা ও নরম কাপড় ব্যবহার করা উচিৎ, এতে বাচ্চার শরীরের বিভিন্ন অংশে বাতাস লাগবে এবং বাচ্চা শান্তিতে থাকবে।
বর্তমানে বাজারে একটি পাউডার পাওয়া যাচ্ছে যার নাম ট্যালকম। এই পাউডার বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার উপযোগী নয়। এটি আপনার বাচ্চার নিঃশ্বাসের সাথে শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে শ্বাসযন্ত্রের কার্যাবলী বাধাপ্রাপ্ত করে ফলে শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা হয়। তাই আপনি যেকোনো পাউডার ব্যবহার করতে চাইলে আগে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা নিশ্চিত হয়ে ব্যবহার করবেন। এতে আপনার বাচ্চা সর্বাধিক নিরাপদ থাকবে আশা করি।
গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
বর্তমানে অধিকাংশ মা বাবা বাচ্চা জন্মের পর থেকেই লোশন এবং ক্রিম নিয়ে অস্থির হয়ে পরে। বাচ্চাদের ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের পূর্বে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা সর্বোত্তম। কোনো কোনো ক্রিম রয়েছে যা ব্যবহার বাচ্চার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই তাড়াহুড়ো করে না জেনে ক্রিম বা লোশন ব্যবহার থেকে দুরে থাকুন। যা করবেন অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই করবেন।
এখানে বাচ্চাদের জন্য কিছু লোশন ও ক্রিম এর তালিকা দেওয়া হলো-
- সেমাবেড প্রোটেকটিভ ফেসিয়াল বেবি ক্রিম
- মামায়ার্থের ময়শ্চারাইজিং বেবি লোশন
- হিমালয় হারবার বেবি লোশন
- শিয়া বাটার বেবি লোশন
- ইভেনো ময়শ্চারাইজিং বেবি লোশন
- ময়শ্চারাজইজিং বেবি লোশন
মামায়ার্থের ময়শ্চারাইজিং বেবি লোশন
মামায়ার্থের ময়শ্চারাইজিং বেবি লোশনটি বাচ্চাদের ত্বককে কোমল এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ করতে সহায়তা করে থাকে। শিশুদের ত্বকে জ্বালাপোড়া সমস্যার সমাধানে এই লোশনটি বেশ কার্যকর। এই লোশনটি বেশ কিছু পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদানে ভরপুর যেমন- বাদামের তেল, শেয়া বাটার, অ্যালোভেরা এবং জোজবা তেল সহ আরও অনেক উপাদান বিদ্যমান। যা আপনার বাচ্চার ত্বককে রাখবে তরতাজা ও পুষ্টিসমৃদ্ধ কোমল।
সেমাবেড প্রোটেকটিভ ফেসিয়াল বেবি ক্রিম
বাচ্চাদের শরীরের ত্বকে বিদ্যমান ক্ষতিকর উপাদান দূরীকরণে ও ত্বকের পুষ্টিসমৃদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ক্রিমটি। শিশুর ত্বকে কোন প্রকার জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ থাকলে এই ক্রিমটি তা নিবারণের জন্য সর্বোত্তম কাজ করবে। তাই আপনারা চাইলে আপনার শিশু বাচ্চাদের জন্য এই ক্রিমটি পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।
শিয়া বাটার বেবি লোশন
বাচ্চাদের ত্বকের সার্বিক সুরক্ষা ও কোমল ময়শ্চারাইজ করতে এই শিয়া বাটার বেবি লোশন এর বিকল্প নেই। এই লোশনটিতে বেশ কিছু পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদানে ভরপুর যেমন- গ্লিসারিন এবং সূর্যমূখী বীজের তেল সহ সয়াবিন ইত্যাদি। তাই আপনার শিশু বাচ্চাদের জন্য এটি ভালো কাজ করবে আশা করছি। এর পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদান বাচ্চাদের ত্বককে ১ দিন পর্যন্ত ময়শ্চারাইজ ও কোমল রাখতে বেশ উপযোগী।
হিমালয় হারবাল বেবি লোশন
এই বেবি লোশনটি ছোট বাচ্চাদের জন্য খুবই চমকপ্রদ কাজ করে থাকে। লোশনটি আপনার বাচ্চার ত্বককে পুষ্টিসমৃদ্ধ রাখবে এবং ত্বককে করবে কোমল ও ময়শ্চারাইজ। হিমালয় হারবাল বেবি লোশনটিতে রয়েছে পুষ্টিসমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেমন- বাদাম তেল ও জলপাই যা শিশুর নরম ত্বককে তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।
সাবধানতাঃ হিমালয় হারবাল বেবি লোশনটি ব্যবহারে অনেক শিশুর শরীরের ত্বকে অ্যলার্জির সমস্যা সহ ফসুকুড়ি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ময়শ্চারাজইজিং বেবি লোশন
শিশুদের ত্বকের যত্নে অনেক মা বাবা ময়শ্চারাজইজিং বেবি লোশন নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন। শিশুদের ত্বক যেহেতু হালকা ও নরম তাই বাচ্চা শিশুদের জন্য ময়শ্চারাজইজিং বেবি লোশনটি বেশ উপযোগী। এই লোশনটির উপাদান হচ্ছে দুধের প্রোটিন ও অ্যালোভেরা যা শিশুর ত্বককে আরও পুষ্টিসমৃদ্ধ করে তুলবে। শিশুর ত্বকের ক্ষতিকর উপাদান দূরীকরণে এই লোশনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইভেনো ময়শ্চারাইজিং বেবি লোশন
শিশুদের নরম ও কোমল ত্বকের জন্য এই লোশনটি বেশ উপযোগী। লোশনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে পুষ্টিসমৃদ্ধ নানান রকমের উপাদান যা আপনার বাচ্চার ত্বককে রাখবে তরতাজা ও ময়শ্চারাইজ। আপনি চাইলে আপনার বাচ্চার ত্বকের যত্নে যত্নে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
গরমে বাচ্চাদের কি খাওয়ানো উচিত
প্রত্যেক শিশুদের এই গরমে খাওয়ার প্রতি অনীহা দেখা দেয়। আপনার বাচ্চা যদি খেতে না চায় তবে তাকে জোর করে খাওয়ানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তবে এই সময়ে বাচ্চার শরীর গঠনের জন্য ও মানসিক বিকাশের জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। আপনি চাইলে নিচে উল্লিখিত খাবারগুলো আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন।
- নরম করে রান্না করা খিচুড়ি
- পুষ্টিসমৃদ্ধ টাটকা সবজির স্যুপ
- তরতাজা মাছের তরকারি
- বিভিন্ন ফলমূলের শরবত
- দই জাতীয় খাবার দিতে পারেন পরিমাণ মত
- মৌসুমি ফলমূল যেমন- আম, পেঁপে, শসা, কলা ইত্যাদি
জেনে রাখা জরুরি যে, গরমে যেসকল খাবার খেলে বাচ্চারা অস্বস্তি বোধ করে এমন জাতীয় খাবার দেওয়া উচিত নয়। যদি বাচ্চা সাময়িক স্বস্তি লাভ করে কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমন খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকা উচিৎ। এখানে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো।
- আইসক্রিম
- আইসবার
- অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি
- গরম পানি
- কোল্ড ড্রিংকস
- খুব ঠান্ডা জুস জাতীয় পানীয়
- বাজারের প্যাকেট জাত জুস
- গুরো দুধ সহ ইত্যাদি
পরিশেষে
গরমে বাচ্চাদের যত্ন, গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো এবং বাচ্চাদের ত্বকের যত্বে করনীয় ও বর্জনীয় তথ্য সহ যাবতীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের পোস্টে। আপনার বাচ্চার ত্বকের জন্য ক্রিম বা লোশন নির্বাচন করার আগে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
সর্বদা শিশুদের শরীরের যত্ন নিন এবং তারা যেন এই রৌদ্রময় পরিবেশে বাইরে ছুটাছুটি না করে সেদিকে খেয়াল রাখা আপনার একান্ত দায়িত্ব। আরও খেয়াল রাখবেন যেন আপনার বাচ্চা পুকুর বা খাল-বিলের পানিতে নেমে না যায়। সবসময় সুস্থ থাকবেন বাচ্চার প্রতি যত্নশীল হবেন সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিদায় নিচ্ছি দরকারি সেবা.কম এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।